রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী প্রভানন্দজী (বরুণ মহারাজ) গত ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে মহাসমাধিতে লীন হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠচক্র, দক্ষিণ হারাধনপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ শোভাযাত্রা, বিশেষ পূজা, বসে অাঁকো প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ প্রভৃতির মাধ্যমে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী স্তবপ্রিয়ানন্দ ও শান্তনু গায়েন। প্রায় ৫০০ ভক্ত বসে প্রসাদ পান।
গত ৭ ও ১১ মার্চ ২০২৩ যথাক্রমে শ্রীচৈতন্যদেব ও শ্রীমৎ স্বামী যোগানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথি উপলক্ষে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী ধ্যানপ্রিয়ানন্দ ও স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, সরিষা : গত ৩—৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসমারোহে বর্ষব্যাপী শতবর্ষ-জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তিপর্ব উদ্যাপিত হয়। তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ।
স্থির অবস্থা থেকে যখন পরিবর্তনের দিকে সমাজ অগ্রসর হয় তখন পরিবর্তনকামী এবং পরিবর্তন-বিরোধী শক্তিসমূহের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত অথবা যেকোনো
বিবেক-দ্যুতিতে উদ্ভাসিত সুভাষচন্দ্র গ্রন্থটি স্বামী বিবেকানন্দের ভাবশিষ্য হিসাবে সুভাষচন্দ্র বসুকে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই পরিকল্পনা। ৯৩২ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে প্রবন্ধ আছে মোট ৪৬টি। কলম ধরেছেন বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী মানুষেরা।
বাংলার রাঢ়ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে শ্রীমা সারদাদেবী পবিত্র করেছিলেন এই ধরাভূমিকে। রাঢ়ভূমি বা রাঢ়বঙ্গ বলতে জঙ্গলমহল—বাঁকুড়ার মালভূমি, পুরুলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বোঝায়।
আমরা যারা কলকাতার বাসিন্দা এবং শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীমা ও স্বামীজীর অনুরাগী, তারা সাধারণত বেলুড় মঠে ঠাকুরের জন্মতিথি উৎসবে যোগদান করে আনন্দ উপভোগ করি।
যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ এবং যুগজননী সারদা বই দুটিতে ঠাকুর ও মায়ের পালিতা কন্যা ভবতারিণী দেবী বা বসুমতী-মার আত্মস্মৃতি পড়ে বড়ই আনন্দ পেলাম। আমার পরম সৌভাগ্য যে, তাঁর পুণ্যদর্শন পেয়েছি এবং এখনো তাঁর স্মৃতি আমার নব্বই-উত্তীর্ণ জীবনে সমুজ্জ্বল।
ধর্ম ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অঙ্গ। অতীন্দ্রিয় সত্তা, ঈশ্বর-অনুসন্ধানের পথ হিসাবে ধর্মকে বিবেচনা করা হলেও এর মূলত তিনটি দিক আমরা লক্ষ্য করে থাকি—পৌরাণিকতা (Mythology), দর্শন (Philosophy) এবং আচার (Rituals)।
সাল ১৭৫৭। পলাশীর যুদ্ধ শেষ। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লর্ড ক্লাইভের কাছে পরাজিত। শুরু হয়েছে ইংরেজ শাসন, আর সেই সূত্রেই আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে একটা নতুন দুনিয়া।
বসুন্ধরা যেমন বীরের উপভোগ্যা, বীরত্বে তেমনই বসুন্ধরার শ্রী। কিন্তু বীরত্বের প্রাপ্তি পেলব নয়, ভীষণ ঊষর। জ্যৈষ্ঠপ্রকৃতির দারুণ নিদাঘ যেভাবে
শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবাদর্শ আশ্রম, বহিচাড়, পূর্ব মেদিনীপুর : গত ২৬—২৮ ডিসেম্বর ২০২২ বিশেষ পূজা, পাঠ প্রভৃতির মাধ্যমে বার্ষিক উৎসব পালিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী একরূপানন্দ ও স্বামী বিনিশ্চয়ানন্দ। প্রায় ৩০০০ ভক্ত প্রসাদ পান।
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৈদিক মন্ত্রপাঠ, বিশেষ পূজা, ভজন প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার বিশেষ পূজা, ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত বৈকালিক জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ
বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের সঙ্গে যিনি প্রথম সংযোগ স্থাপন করেছিলেন তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির প্রাণের আবেগ, মনের আনন্দ আর আত্মবিস্তারের নিঃসীম সীমানা হলেন তিনি। তাঁকে যতই খোঁজা হোক, তিনি থেকে যাবেন অচেনা।
বাঙালি হিন্দুর জীবনে মৃত্যুর পর দেহকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটে তার ইতিহাস রচনা বিশেষ প্রয়োজন। অলোক সরকারের শ্মশান : মিথ পুরাণ ইতিহাস বইটি সেই প্রয়োজনের একটা বড় অংশকেই পূরণ করেছে, নতুন দিশা দেখিয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে গোটা জাতি যখন ঔপনিবেশিকতার দাসত্বে মাথা নুইয়ে সেলাম ঠুকতে ব্যস্ত, সেই সময়ে অপরাজেয় মহীরুহের মতো একা দাঁড়িয়েছিলেন মহামহিম বিদ্যাসাগর।
ছোটবেলায় আমি থাকতাম হাওড়া জেলার বলুহাটি গ্রামে। আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে বেলুড় মঠের দূরত্ব খুব বেশি হলে ছয়/সাত কিলোমিটার।
হুগলি জেলার আরামবাগ থানার অন্তর্গত গৌরহাটি গ্রামে ছিল শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভগিনী সর্বমঙ্গলাদেবীর শ্বশুরালয়। কোনো এক চৈত্র মাসে আমবারুণীর সময় শ্রীরামকৃষ্ণ আরামবাগের ডিহিবয়রা, কানপুরে অনুষ্ঠিত রঞ্জিত রায়ের দিঘির মেলা দেখতে আসেন।
রাষ্ট্রীয় বিকাশের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ইতিহাসে পঞ্চদশ-ষোড়শ শতক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া
বাংলায় বহু মন্দির আছে যা শ্রেণিবিভাগ করলে প্রধানত চারটি শৈলীতে বিভক্ত করা যায়—চালা, রত্ন, শিখর ও দালান। প্রত্যেকটিকে আবার উপবিভাগে ভাগ করা যায়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিবর্তন যেমন ঘটেছে, তেমনি বিলুপ্তও হয়েছে অনেক আবেগ, সংস্কার। নগর সভ্যতায় সেসব সংস্কারের মৃদু আলোটুকুও তেমন আর দেখা যায় না, গ্রাম-গঞ্জে এখনো তার কিছু কিছু লক্ষ্য করা যায়।
জীবনের নিয়ত সংগ্রামে মানুষ নব অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়; পরিচিত জগৎ নবীন আঙ্গিকে নয়নপথে ভেসে ওঠে। পূর্বের অনভিজ্ঞ যত পদক্ষেপকে
ইছাপুর আনন্দমঠ শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা সংঘ, উত্তর ২৪ পরগনা : গত ১৭—১৯ ও ২৬—২৮ ডিসেম্বর ২০২২ বিশেষ সেবা, পাঠ, আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা, নরনারায়ণ সেবা, শোভাযাত্রা, প্রসাদ ও বস্ত্র বিতরণ,
স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ বিশেষ পূজা, ভজন প্রভৃতির মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়। সংগীত পরিবেশন করেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ও ভার্গব লাহিড়ী।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ বিশেষ পূজা, ভজন, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়।
বর্তমান সময়ে বাংলা পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে চর্চা কমই চোখে পড়ে। প্রযুক্তির এই বিশাল বিস্ফোরণের যুগে আমাদের প্রতিটি সময় ব্যয় হয় কোনো না কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে।
পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে প্রথম সারির অন্যতম বিপ্লবী হলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তাঁর দর্শন-মনন-কর্মকাণ্ডের যে-মাত্রায় চর্চা হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি।
দান্ত আমাদের প্রত্যেকের প্রাত্যহিক জীবনের চর্চার বিষয়। শ্রীসারদা মঠের পূর্বতন সহাধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা অজয়াপ্রাণা মাতাজী রচিত Vedanta in Practice : Spiritual Unfoldment গ্রন্থটি আমাদের সেই পথেই চালিত করে।
গড়ুরপুরাণ-এ বলা হয়েছে—সর্বপ্রকার তীর্থজলের মধ্যে গঙ্গাজলই পবিত্র। গঙ্গা মরণান্তিক পাপ নাশ করে। ভারতবর্ষের আত্মা ও দর্পণস্বরূপ এই গঙ্গাকে নিয়ে সাহিত্যিক টুটুল মুখার্জী রচনা করেছেন গঙ্গৈব পরমাগতিঃ।
ত্য নবায়মান উদ্বোধন পত্রিকা আমাদের অভিসিঞ্চিত করে চলেছে। পাঠকের মন বিবিধ সম্পদে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’তে ঊর্মিলা সরকারের লেখায় আমার মনের কথা অনেকখানি প্রকাশ পেয়েছে। সাধুবাদ জানাই তাঁকে
১৯৫৪ সালে শ্রীশ্রীমায়ের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে জয়রামবাটী গ্রামে দেশ ও বিদেশের ভক্তসমাগমের সম্ভাবনার কথা ভেবে বাঁকুড়ার তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. টি. আয়েঙ্গার আমার বাবাকে ঐ গ্রামে ও আশপাশে ভক্তমণ্ডলীর সুবিধার জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলেছিলেন।
দোলপূর্ণিমা আগত। বাংলার ঘরে, বিশেষ করে বৈষ্ণব ঘরানায় দোলযাত্রায় ‘বিদেশিনী’ নিবেদিতা কিভাবে গৃহীত হয়েছিলেন তার একটি অনবদ্য চিত্র পাই বিশিষ্ট লেখিকা সরলাবালা সরকারের (১৮৭৫—১৯৬১) লেখায়। তিনি পিতৃকুলের দিক থেকে ছিেলন বাংলা ভাষায় প্রথম আত্মজীবনী আমার
শ্রীরামকৃষ্ণের এবারের লীলা গোপনলীলা—অনাড়ম্বর লীলা। তিনি ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বাংলার এক নিভৃত পল্লীর গোপন অঞ্চলে। হুগলী জেলার তৎকালীন এক অখ্যাত গ্রাম—কামারপুকুরে। দক্ষিণেশ্বরে সিদ্ধিলাভের পর তাঁর এমনি অবস্থা—ভক্ত সঙ্গে বিলাস করার জন্য মথুরবাবুদের কুঠির ছাদের ওপরে গিয়ে ডেকে বলতেন—“ওরে তোরা কে কোথায় আছিস আয়, আমি যে একলা থাকতে পাচ্ছি না।” সে আহ্বান গিয়ে পৌঁছল বাংলার কয়েকটি অনাঘ্রাত কুসুমসম নির্মল চরিত্র যুবকের অন্তরে। শ্রীরামকৃষ্ণের আহ্বান মন্ত্র তাঁদের হৃদয় তন্ত্রে ধৃত হল। এ নিত্যকালের ডাক, যে ডাকে সাড়া দিয়েছিল রাখাল বালক আর গোপবাল্যগণ। সে আহ্বানে এগিয়ে এসেছিল রক্ষপুরীর মনুুষ্যেতর প্রাণী আর অরণ্যবাসী বানরগণ। সে আকর্ষণে এগিয়ে এল মরুবাসী সাধারণ মানুষ। আর অপরবারে সাড়া দিয়েছিল […]
আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় যতগুলি গ্রন্থ রচিত হয়েছে, মহাভারত তার মধ্যে সর্ববৃহৎ। হোমার রচিত ইলিয়াড ও ওডিসি মহাকাব্যের তুলনায় কয়েক গুণ বড়। এটি শুধু যে আয়তনেই বৃহৎ তাই নয়, সব ধরনের ভাবসমৃদ্ধও। আমরা সাধারণত ধর্মজীবন এবং সংসারজীবনের মধ্যে পার্থক্য করে থাকি।
ভারতবর্ষে মূল রামায়ণের যেসমস্ত পাঠ পাওয়া গেছে তার মধ্যে মহাকবি তুলসীদাসের রামচরিত মানস সবচেয়ে সমাদৃত। গীতায় ভগবান স্বকণ্ঠে বলেছেন, তিনি যুগে যুগে অবতাররূপে আবির্ভূত হন।
প্রতিদিনের দিনমালায় সময় বয়ে যায়। জগৎ মাঝারে হাসি-কান্নার রঙের মতো গ্রীষ্ম-শীতের ঋতুলীলা চলতে থাকে। বিশ্ব-সংসারের অপার লীলারহস্য আমাদের কাছে অধরা রয়ে যায়। প্রতিদিনের ওঠাপড়ায় প্রতিটি দিন যেমন এক থাকে না, তেমনি প্রতিটি ক্ষণও পালটে পালটে যায়। জগৎ মাঝারে
জীবনপথের প্রতি বাঁকে লুকাইয়া রহিয়াছে কত না অভিজ্ঞতার ঝাঁপি! আমাদের পথচলার শুরু হইতেই এই অভিজ্ঞতা, তাহার কোনো বিরাম নাই। কত অম্ল-মধুর, বেদনা-বিধুর, হাসি-কান্না, সহজ-কঠিন, সফল-বিফল ঘটনার ঘনঘটায় আগাইয়া চলিয়াছে এই জীবনের পথচলা। মনে মনে চলিতে থাকে কত চিন্তার জাল বুনন—কবি-কল্পনাও সেই রাজ্যকে সম্যক ধরিতে ছুঁইতে অপারগ।
দেউলপুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাব্রত সংঘ, হাওড়া : গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ নবনির্মিত মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ও শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মর্মর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা
শ্রীশ্রীমায়ের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৈদিক স্তোত্রাদি পাঠ, ভজন, জপযজ্ঞ, সানাই বাদন, শোভাযাত্রা, বিশেষ পূজা, পাঠ ও
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ বেলুড় মঠ-প্রাঙ্গণে অবস্থিত চিকিৎসালয়ের বিপরীত দিকে ‘মা সারদা ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনী সংসদ ‘পুনশ্চ বাংলা’ থেকে দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রকাশিত হলো পুনশ্চ বাংলা পত্রিকার
আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকায় (‘কিছু কথা’) লেখক জানিয়েছেন : “নদী তো সবার জন্য। নদীর বিজ্ঞানকে বোঝার অধিকার তো সাধারণ মানুষেরও আছে।”
লোনা জলের সাগর নয়, শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন—‘ক্ষীরসমুদ্র’; সেই সমুদ্র থেকে এক আঁজলা পান করতে পারলে আমরা যেমন বলশালী হব,
উদ্বোধন-এর গত পৌষ ১৪২৯ সংখ্যায় মিতালী বিশ্বাসের লেখা ‘কপিলামঙ্গল কাব্যের অনুরণনে “সহরই” বা বাঁদনা পরব’ পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত উদ্বোধন পত্রিকার আমি অনুরাগী ও পাঠিকা। কম বয়স থেকেই সাংসারিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে উদ্বোধন
উদ্বোধন-এর গত শারদীয়া ১৪২৯ সংখ্যায় স্বামী নিত্যমুক্তানন্দের ‘মধুময় স্মৃতি’ পড়ে আমার ৩৬ বছর আগেকার স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
“একলব্য”, শিল্পী: চিত্রনিভা চৌধুরী | “স্নেহময়ী”, শিল্পী: সুনয়নী দেবী | “উদার বারি বিন্দু”, শিল্পী: আশিস ঘোষ
ছোটদের নিয়ে আমি কিছু বলতে গেলেই হয়তো অনেকে হৈ-হৈ করে উঠতে পারেন—‘আপনার নিজের তো সংসার-সন্তানাদি নেই, আপনি আবার বাচ্চাদের বিষয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ লোক হলেন কী করে, মহারাজ?’
ভাষার একটি সহজাত গুণ হল প্রবহমানতা। প্রবহমান ভাষার তাই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
চিন্তাশীল মনীষীদের আবেদন, নিবেদন ও সাবধানবাণীকে উপেক্ষা করে পৃথিবীতে বিভেদ ও অশান্তির বিষবৃক্ষ প্রোথিত হয়ে চলেছে গুণিতক নিয়মে।
নিজের প্রাপ্তিতে তুষ্ট থাকতে পারাই প্রকৃত সুখ। প্রিয় বিষয়কে মানুষ সংগোপনে সযতনে লালন করে চলে
ভাবিলে ভাবের উদয় হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন ভাবুক। সামান্য উদ্দীপনেই টাহার ভাব হইত। তেমনি সকল ভাবের মধ্যেও ‘ভাবষট্কহীনরূপ-নিত্যসত্যমদ্বয়ম্’ অর্থাৎ তিনি
রামকৃষ্ণ পরমহংস জগতের কল্যাণের জন্য এসেছিলেন। তাঁকে মানুষ বল বা ঈশ্বর বল বা অবতার বল, আপনার আপনার ভাবে নাও।
রামকৃষ্ণ মিশনের 113তম বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার, 18 ডিসেম্বর 2022, বেলা 3.30টায় বেলুড় মঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ 202122 আর্থিক বছরে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা সমিতির কাজের ওপর প্রতিবেদন (রিপোর্ট) উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনের একটি সারসংক্ষেপ এখানে দেওয়া হলো:
স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণের করুণামুখর অবতরণের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধানে বলেছেন: “প্রত্যেক পতনের পর পুনরুত্থিত সমাজ অন্তর্নিহিত সনাতন পূর্ণত্বকে সমধিক প্রকাশিত করিতেছেন এবং সর্বভূতান্তর্যামী প্রভুও প্রত্যেক অবতারে আত্মস্বরূপ সমধিক অভিব্যক্ত করিতেছেন।”
স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ
১ম বর্ষ—৪র্থ বর্ষ
মাঘ ১৩০৫, জানুয়ারি ১৮৯৯
পৌষ ১৩০৯, ডিসেম্বর ১৯০২
উদ্বোধন পত্রিকা আগামী বছর ১২৫ বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা ভাষায় একটি পত্রিকা প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছিলেন
স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণের করুণামুখর অবতরণের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধানে বলেছেন: “প্রত্যেক পতনের পর পুনরুত্থিত সমাজ অন্তর্নিহিত সনাতন পূর্ণত্বকে সমধিক প্রকাশিত করিতেছেন এবং সর্বভূতান্তর্যামী প্রভুও প্রত্যেক অবতারে আত্মস্বরূপ সমধিক অভিব্যক্ত করিতেছেন।”
শ্রীরামকৃষ্ণের পূত চরিত্র ভারতবর্ষের সনাতন আত্মার অভিব্যক্তিতে শান্ত সমাহিত। তাঁহার ভালবাসার কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দ বলিতেন, তাঁহার আবির্ভাবে জগতে এক আধ্যাত্মিক ভাবতরঙ্গের সূচনা হইয়াছে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, শ্রীমা সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের আশীর্বাদে উদ্বোধন পত্রিকা একশো পঁচিশ বছরে পদার্পণ করছে। যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের মানসসঞ্জাত উদ্বোধন পত্রিকা কেবলমাত্র একটি সাময়িক পত্র নয়, ভারতের চিরন্তন বাণীর একটি সতত সঞ্চরণশীল প্রাণকেন্দ্রবিশেষ
বিষ্ণুপুর বিবেকানন্দ চিন্তন ও সেবা সমিতি, বাঁকুড়া : গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিষ্ণুপুর বিবেকানন্দ চিন্তন ও সেবা সমিতি, বাঁকুড়া : গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব ও বার্ষিক পত্রিকা ‘বজ্র’ প্রকাশ করেন স্বামী কৃিত্তবাসানন্দ।
গত ৩ অক্টোবর ২০২২ মহাষ্টমী উপলক্ষে স্তবপাঠ, পূজা, হোম প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০০ ভক্ত প্রসাদ পান।
গত ৩ অক্টোবর ২০২২ মহাষ্টমী উপলক্ষে স্তবপাঠ, পূজা, হোম প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০০ ভক্ত প্রসাদ পান। গত ২৪ অক্টোবর স্তবপাঠ, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে সারারাত্রিব্যাপী প্রতিমায় শ্রীশ্রীকালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩৫০ জন ভক্ত প্রসাদ পান।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২—৫ অক্টোবর ২০২২ ভাবগম্ভীর ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিমায় শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২—৫ অক্টোবর ২০২২ ভাবগম্ভীর ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিমায় শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও হাজার হাজার ভক্ত জগন্মাতার দর্শন ও আশীর্বাদলাভের উদ্দেশ্যে এই চারদিনের পূজানুষ্ঠানে যোগদান করেন। মহাষ্টমীতে প্রায় ৫৫ হাজার এবং চারদিনে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভক্ত প্রসাদ পান।
এবারের পুজোয় ‘হরপ্পা’ পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় বাঙালির উনিশ ও বিশ শতকের পুজোর বই ও পত্রিকার নানান প্রেক্ষিত ও প্রবণতাকে …
এবারের পুজোয় ‘হরপ্পা’ পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় বাঙালির উনিশ ও বিশ শতকের পুজোর বই ও পত্রিকার নানান প্রেক্ষিত ও প্রবণতাকে সামনে রেখে নির্মিত হয়েছে দুর্গাপুজোর একেবারে অন্য সাংস্কৃতিক ইতিহাসের রূপরেখা। এই ব্যতিক্রমী ভাবনার রূপায়ণ আপামর বাঙালি পাঠককে মুগ্ধ করবে।
তর্কপ্রিয় বাঙালির প্রধান অস্ত্র হলো তার তত্ত্ববোধ, যা কি না অস্পষ্ট, অগভীর ও বিতর্কিত! সাহিত্যেও তার ব্যতিক্রম নেই।
তর্কপ্রিয় বাঙালির প্রধান অস্ত্র হলো তার তত্ত্ববোধ, যা কি না অস্পষ্ট, অগভীর ও বিতর্কিত! সাহিত্যেও তার ব্যতিক্রম নেই। বাংলা লিটিল ম্যাগাজিন চর্চায় তত্ত্বের সুলুক সন্ধানের খোঁজ তাই সেভাবে চোখে পড়ে না। তবে লিটিল ম্যাগাজিন চর্চায় যেটা বারবার নজরে আসে তা হলো নতুন কিছু করার বা ভাবার প্রচেষ্টা।
বুদ্ধের সন্ধানে বইটিতে কুণাল চট্টোপাধ্যায় ছটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ ও ভারত-সংলগ্ন বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রসারের ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
বুদ্ধের সন্ধানে বইটিতে কুণাল চট্টোপাধ্যায় ছটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ ও ভারত-সংলগ্ন বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রসারের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। প্রথম অধ্যায়ে বৌদ্ধধর্ম ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে জর্জ টার্নার, ব্রায়ান হজসন ও জেমস প্রিন্সেপ অনুসন্ধানের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও উত্তরভারতে বৌদ্ধধর্ম বিস্তার সম্বন্ধীয় নানা তথ্য কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রয়েছে।
স্বামী ব্রহ্মানন্দজী সম্পর্কে আলোচ্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে এখানে।
স্বামী ব্রহ্মানন্দজী সম্পর্কে আলোচ্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে এখানে। যেমন স্বামী ব্রহ্মানন্দজী ও নেতাজী প্রসঙ্গটি। লেখক সবিস্তারে আলোচনা করে দেখিয়েছেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর দিব্যদৃষ্টিতে ধরা পড়েছিল—সুভাষের জন্য সন্ন্যাসজীবন নয়, দেশের কাজে তাঁকে আত্মোৎসর্গ করতে হবে। দিলীপকুমার রায়কে সুভাষচন্দ্র পরে বলেছিলেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর কৃপা এবং পরামর্শেই তাঁর জীবনের গতি বদলে গিয়েছে।
একদিন রাসবিহারী মহারাজ একজনের প্রসঙ্গে মাকে বলেছিলেন—‘তাঁর প্রাণটা তোমার জন্য কেমন ব্যাকুল হয়েছে তিন-চার মাস ধরে।’
একদিন রাসবিহারী মহারাজ একজনের প্রসঙ্গে মাকে বলেছিলেন—‘তাঁর প্রাণটা তোমার জন্য কেমন ব্যাকুল হয়েছে তিন-চার মাস ধরে।’ মা শুনে বলেন—‘সে কি! সাধু সব মায়া কাটাবে।… আমি ওসব ভালবাসি না।’ ইত্যাদি। আমি এবিষয়ে রাসবিহারী মহারাজকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি উত্তরে বললেন—“উনি মাঝে মাঝে আমার কাছে এসে বলতেন, তোমরা কত ভাগ্যবান! শ্রীশ্রীমার কত স্নেহ পাচ্ছ, কাছে থেকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছ ইত্যাদি, ইত্যাদি।”
এই সেই জয়রামবাটীর চন্দন-সমান মাটি, যেখানে মায়াপারনেত্রী মহামায়া মানবীয় কায়ায় ভূমিষ্ঠা হয়েছেন ও আপনার ছন্দে আপনি পরিভ্রমণ করেছেন। আর মাঝে মাঝে মৃদুস্বরে বলে উঠেছেন : “ছেলেরা, তোরা আয়।” সন্তানের জন্য তাঁর এই কাতর অপেক্ষায় দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছে পল্লির শাঁওল নিসর্গ। শত শত জনের ত্রিতাপদহন নিমেষে কেমন করে শান্ত হয়ে গেছে, তার সাক্ষী থেকেছে এখানকার সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।
এই সেই জয়রামবাটীর চন্দন-সমান মাটি, যেখানে মায়াপারনেত্রী মহামায়া মানবীয় কায়ায় ভূমিষ্ঠা হয়েছেন ও আপনার ছন্দে আপনি পরিভ্রমণ করেছেন। আর মাঝে মাঝে মৃদুস্বরে বলে উঠেছেন : “ছেলেরা, তোরা আয়।” সন্তানের জন্য তাঁর এই কাতর অপেক্ষায় দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছে পল্লির শাঁওল নিসর্গ। শত শত জনের ত্রিতাপদহন নিমেষে কেমন করে শান্ত হয়ে গেছে, তার সাক্ষী থেকেছে এখানকার সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।
“১৮৮৬ সালের অগস্ট মাসে শ্রীরামকৃষ্ণ দেহ ছেড়ে তাঁর সাধনোচিত ধামে যাত্রা করেন।” চিরাচরিত হিন্দু রীতি অনুসারে শ্রীমা তাঁর অলংকার ত্যাগ করে যখন হাতের …
“১৮৮৬ সালের অগস্ট মাসে শ্রীরামকৃষ্ণ দেহ ছেড়ে তাঁর সাধনোচিত ধামে যাত্রা করেন।” চিরাচরিত হিন্দু রীতি অনুসারে শ্রীমা তাঁর অলংকার ত্যাগ করে যখন হাতের বালাটি খুলবেন, তখন অভাবনীয়ভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ জ্যোতির্ময়রূপে তাঁকে দর্শন দিয়ে তাঁর হাত ধরে বালা খুলতে নিষেধ করেন। ঠাকুর বলেন যে, তিনি পূর্বের মতোই বিদ্যমান এবং তাঁর বৈধব্যচিহ্ন গ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই।
বিভিন্ন শিক্ষা পর্ষদের অধীনে ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রামকৃষ্ণ মিশনের বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাসগুলির ফল নিম্নরূপ :
বিভিন্ন শিক্ষা পর্ষদের অধীনে ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রামকৃষ্ণ মিশনের বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাসগুলির ফল নিম্নরূপ :
ঘাটাল শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত ২৬ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি ভক্তসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ, স্বামী সুপর্ণানন্দ, স্বামী সর্বলোকানন্দ, স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, ডঃ বন্দিতা ভট্টাচার্য ও গোপেন্দ্র চৌধুরী।
ঘাটাল শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত ২৬ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি ভক্তসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ, স্বামী সুপর্ণানন্দ, স্বামী সর্বলোকানন্দ, স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, ডঃ বন্দিতা ভট্টাচার্য ও গোপেন্দ্র চৌধুরী।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য ডাঃ চন্দ্রশেখর কালীর বাড়ি’র লেখক অরিন্দম দাসকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলিধন্য এই বাড়িটির সন্ধান দেওয়ার জন্য যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য ডাঃ চন্দ্রশেখর কালীর বাড়ি’র লেখক অরিন্দম দাসকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলিধন্য এই বাড়িটির সন্ধান দেওয়ার জন্য যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।
‘উদ্বোধন’-এর গত ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণচরিত্র’ বিষয়ে পার্থ সেনগুপ্তের রচনাটি শ্রীকৃষ্ণের চারিত্রিক বিশ্লেষণে এক মহামূল্যবান ধারাবিবরণীর সমতুল্য।
‘উদ্বোধন’-এর গত ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণচরিত্র’ বিষয়ে পার্থ সেনগুপ্তের রচনাটি শ্রীকৃষ্ণের চারিত্রিক বিশ্লেষণে এক মহামূল্যবান ধারাবিবরণীর সমতুল্য।
‘উদ্বোধন’-এর গত আষাঢ় ১৪২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পত্র-পত্রিকার ছাপাখানা’ শীর্ষক তথ্যমূলক রচনাটি পড়ে ভাল লাগল। এপ্রসঙ্গে দু-একটি তথ্য সংযোজন করতে চাই।
‘উদ্বোধন’-এর গত আষাঢ় ১৪২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পত্র-পত্রিকার ছাপাখানা’ শীর্ষক তথ্যমূলক রচনাটি পড়ে ভাল লাগল। এপ্রসঙ্গে দু-একটি তথ্য সংযোজন করতে চাই।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘ভারতীয় মার্গসংগীতে বর্ষা’ পড়ে ভাল লাগল। আমার দেখা একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেটি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করছি। সময়টা ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘ভারতীয় মার্গসংগীতে বর্ষা’ পড়ে ভাল লাগল। আমার দেখা একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেটি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করছি। সময়টা ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৯ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ ও স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৯ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ ও স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ঝাড়গ্রামে একটি আবাসিক কো-এডুকেশন স্কুলের সূচনা করে, যেটির নাম ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এক চুক্তি অনুসারে রামকৃষ্ণ মিশন এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং প্রশাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ঝাড়গ্রামে একটি আবাসিক কো-এডুকেশন স্কুলের সূচনা করে, যেটির নাম ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এক চুক্তি অনুসারে রামকৃষ্ণ মিশন এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং প্রশাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
আবহমান বাঙালি-মনের যে-রাগ কার্তিকের কুয়াশায় ফিকে হয়ে গিয়ে অঘ্রানের ধানে আবার সোনালি রঙে ফুটে ওঠে, তার নাম হেমন্ত। হেমন্তে গতি পায় বাংলার দৈনন্দিন স্বপ্নার্দ্র জীবন। মেদুর শিশিরকণার মন্দাক্রান্তা ছন্দে কার্তিকের সকাল আলসে চোখে চেয়ে থাকে।
আবহমান বাঙালি-মনের যে-রাগ কার্তিকের কুয়াশায় ফিকে হয়ে গিয়ে অঘ্রানের ধানে আবার সোনালি রঙে ফুটে ওঠে, তার নাম হেমন্ত। হেমন্তে গতি পায় বাংলার দৈনন্দিন স্বপ্নার্দ্র জীবন। মেদুর শিশিরকণার মন্দাক্রান্তা ছন্দে কার্তিকের সকাল আলসে চোখে চেয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে ‘বাংলা’—এই নামে কোনো দেশ বা জনপদের অবস্থান ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশের নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এসমস্ত জনপদ বা অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবে মনে করা হয়—বিক্রমপুর, নাব্য (পূর্ববঙ্গের
প্রাচীনকালে ‘বাংলা’—এই নামে কোনো দেশ বা জনপদের অবস্থান ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশের নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এসমস্ত জনপদ বা অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবে মনে করা হয়—বিক্রমপুর, নাব্য (পূর্ববঙ্গের
“এলেম নতুন দেশে—
তলায় গেল ভগ্ন তরী, কূলে এলেম ভেসে।।”১
রবীন্দ্রনাথের কল্প-ছোঁয়ার ‘তাসের দেশ’ আবিষ্কারের মতো, ময়ূরপঙ্খি নাও নিয়ে উদ্দাম সাগরের উজানে পাড়ি দিয়ে নতুন দেশ খুঁজে পাওয়ার কত না রোমহর্ষক কাহিনি পড়েছি রূপকথার গল্পে! জেনেছি কলম্বাসের আমেরিকা ও ভাস্কো-দা-গামার সুদূর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার ‘কেপ অব গুড হোপ’ পেরিয়ে ভারত আবিষ্কারের কথা।
“এলেম নতুন দেশে—
তলায় গেল ভগ্ন তরী, কূলে এলেম ভেসে।।”১
রবীন্দ্রনাথের কল্প-ছোঁয়ার ‘তাসের দেশ’ আবিষ্কারের মতো, ময়ূরপঙ্খি নাও নিয়ে উদ্দাম সাগরের উজানে পাড়ি দিয়ে নতুন দেশ খুঁজে পাওয়ার কত না রোমহর্ষক কাহিনি পড়েছি রূপকথার গল্পে! জেনেছি কলম্বাসের আমেরিকা ও ভাস্কো-দা-গামার সুদূর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার ‘কেপ অব গুড হোপ’ পেরিয়ে ভারত আবিষ্কারের কথা।
এক ভীষণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমানে জীবন অতিবাহিত করছি। বেঁচে থাকার লড়াই করছি কমবেশি সকলেই। অপরদিকে যদি অসুখের এই প্রত্যক্ষতা থেকে মুখ তুলে সমাজের দিকে তাকানো যায় সামগ্রিকভাবে, দেখা যাবে ভয়ে, অবসাদে, উদ্বেগে নিমজ্জিত সে।
এক ভীষণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমানে জীবন অতিবাহিত করছি। বেঁচে থাকার লড়াই করছি কমবেশি সকলেই। অপরদিকে যদি অসুখের এই প্রত্যক্ষতা থেকে মুখ তুলে সমাজের দিকে তাকানো যায় সামগ্রিকভাবে, দেখা যাবে ভয়ে, অবসাদে, উদ্বেগে নিমজ্জিত সে।
স্বচ্ছতার দুই প্রতীক—জল ও কাচ। একটি তরল অপরটি কঠিন হলেও দুটিতে মিল অনেক। দুটিই অনিয়তাকার বা নির্দিষ্ট আকারশূন্য; পরিবেশ ও অবস্থা অনুযায়ী খাপ খাওয়ানোতে সক্ষম।
স্বচ্ছতার দুই প্রতীক—জল ও কাচ। একটি তরল অপরটি কঠিন হলেও দুটিতে মিল অনেক। দুটিই অনিয়তাকার বা নির্দিষ্ট আকারশূন্য; পরিবেশ ও অবস্থা অনুযায়ী খাপ খাওয়ানোতে সক্ষম।
জীবন আপাতপক্ষে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সমাবেশমাত্র। ভাল আর মন্দের নিত্য দোলায় এই খেলা চলিতে থাকে। প্রতিদিনের হাসিকান্নায় জীবন ‘নদী’র মতো বহিয়া যায়। জীবনদেবতা যেন অগোচরে একের পর এক রাগের সমাবেশ ঘটান আমাদের জীবনে।
জীবন আপাতপক্ষে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সমাবেশমাত্র। ভাল আর মন্দের নিত্য দোলায় এই খেলা চলিতে থাকে। প্রতিদিনের হাসিকান্নায় জীবন ‘নদী’র মতো বহিয়া যায়। জীবনদেবতা যেন অগোচরে একের পর এক রাগের সমাবেশ ঘটান আমাদের জীবনে।
আম্পায়ার ও তাঁর আম্পায়ারিং বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে যেমন বর্ণবহুল, তেমনি প্রতিনিয়ত চুলচেরা বিশ্লেষণে আলোচ্য বিষয়।
‘উদ্বোধন’-এর গত মাঘ ১৪২৮ সংখ্যায় ‘ভারতীয় সংবিধান অলংকরণে শিল্পী নন্দলাল বসু’ রচনায় সারনাথে নির্মিত চতুর্মুখ সিংহের ভাস্কর্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। মূলত এটি ছিল অশোকের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্তম্ভ অনুশাসনের অন্যতম।
‘উদ্বোধন’-এর গত মাঘ ১৪২৮ সংখ্যায় ‘ভারতীয় সংবিধান অলংকরণে শিল্পী নন্দলাল বসু’ রচনায় সারনাথে নির্মিত চতুর্মুখ সিংহের ভাস্কর্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। মূলত এটি ছিল অশোকের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্তম্ভ অনুশাসনের অন্যতম।
এবছর রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর বিশ্বময় যথাযথ শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে। মিশনের প্রতিষ্ঠা হয় ১ মে ১৮৯৭।
রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাযজ্ঞ দেখলে বিস্মিত হতে হয়। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় সেবা দিতে এগিয়ে আসেন। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা আত্মনিবেদিত ভক্ত, সদা কর্মময়, মিশনের সম্পদ।
এবছর রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর বিশ্বময় যথাযথ শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে। মিশনের প্রতিষ্ঠা হয় ১ মে ১৮৯৭।
রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাযজ্ঞ দেখলে বিস্মিত হতে হয়। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় সেবা দিতে এগিয়ে আসেন। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা আত্মনিবেদিত ভক্ত, সদা কর্মময়, মিশনের সম্পদ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের ক্লিবল্যান্ড শহরের এক অনাথাশ্রমে শৈশব কাটান উইলিয়াম অ্যান্টনি (বিল) ওয়াইন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের ক্লিবল্যান্ড শহরের এক অনাথাশ্রমে শৈশব কাটান উইলিয়াম অ্যান্টনি (বিল) ওয়াইন।
দুঃখ এমন এক অনুভূতি যা আমাদের জীবনের সহিত নিবিড়ভাবে যুক্ত। দুঃখের মধ্যে চলিতে চলিতে আমরা বারবার উদ্বিগ্ন হই, সুখের প্রত্যাশায় আমাদের মন অসন্তোষে আবদ্ধ হয়। দৈনন্দিন জীবনে এই সুখ-দুঃখের লীলায় দুঃখের ভাগই বেশি। বহু দুঃখের তপস্যায় যেন আনন্দ-স্বরূপ জয় আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। প্রকৃতপক্ষে দুঃখ দিয়া যেন এই সংসার গড়িয়া উঠিয়াছে।
দুঃখ এমন এক অনুভূতি যা আমাদের জীবনের সহিত নিবিড়ভাবে যুক্ত। দুঃখের মধ্যে চলিতে চলিতে আমরা বারবার উদ্বিগ্ন হই, সুখের প্রত্যাশায় আমাদের মন অসন্তোষে আবদ্ধ হয়। দৈনন্দিন জীবনে এই সুখ-দুঃখের লীলায় দুঃখের ভাগই বেশি। বহু দুঃখের তপস্যায় যেন আনন্দ-স্বরূপ জয় আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। প্রকৃতপক্ষে দুঃখ দিয়া যেন এই সংসার গড়িয়া উঠিয়াছে।
‘উদ্বোধন’-এর বর্তমান সংখ্যাগুলি নতুন আঙ্গিকে, নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। মনে হচ্ছে, ‘উদ্বোধন’-এর যেন নবজন্ম হয়েছে!
‘উদ্বোধন’-এর বর্তমান সংখ্যাগুলি নতুন আঙ্গিকে, নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। মনে হচ্ছে, ‘উদ্বোধন’-এর যেন নবজন্ম হয়েছে!
কোতুলপুর শ্রীমা সারদা পাঠচক্র (বাঁকুড়া) : গত ৯ এপ্রিল ২০২২ বিশেষ পূজা, ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা অনুিষ্ঠত হয়।
কোতুলপুর শ্রীমা সারদা পাঠচক্র (বাঁকুড়া) : গত ৯ এপ্রিল ২০২২ বিশেষ পূজা, ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা অনুিষ্ঠত হয়।
বিশেষ সংবাদ : গত ৭ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজ এখানে শুভাগমন করেন
বিশেষ সংবাদ : গত ৭ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজ এখানে শুভাগমন করেন
রামকৃষ্ণ মঠ, ম্যাঙ্গালুরু : গত ৩-৪ জুন ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। নবনির্মিত প্রধান প্রবেশদ্বার
রামকৃষ্ণ মঠ, ম্যাঙ্গালুরু : গত ৩-৪ জুন ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। নবনির্মিত প্রধান প্রবেশদ্বার
‘উদ্বোধন’-এর গত কার্তিক ১৪২৮ সংখ্যায় স্বামী প্রিয়ব্রতানন্দের লেখা ‘স্বামী নির্বাণানন্দজী মহারাজের পুণ্যস্মৃতির অনুধ্যান’ পড়লাম।
‘উদ্বোধন’-এর গত কার্তিক ১৪২৮ সংখ্যায় স্বামী প্রিয়ব্রতানন্দের লেখা ‘স্বামী নির্বাণানন্দজী মহারাজের পুণ্যস্মৃতির অনুধ্যান’ পড়লাম।
উৎসব-অনুষ্ঠান অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডল, চৌবেরিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা : গত ২৭—২৯ মে ২০২২ মনঃসংযোগ, চরিত্রগঠন, স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা, প্রদর্শনী, শোভাযাত্রা, স্মরণিকা প্রকাশ, বাঁশিতে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন প্রভৃতির মাধ্যমে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ আঞ্চলিক যুব-শিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ, স্বামী কমলস্থানন্দ, ডঃ তুহিন চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, অমিতকুমার দত্ত প্রমুখ। শিবিরে ৩১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সেবাব্রত পানিত্রাস বিবেকানন্দ সেবা সংঘ, হাওড়া : গত ১৫ মে ২০২২ চৈতন্যপুরের বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নিরাময় নিকেতন-এর সহযোগিতায় একটি বিনামূল্যে চক্ষুপরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে তিন শতাধিক রোগীর চক্ষুপরীক্ষা করা হয় এবং ৯০ জনের ছানি অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা […]
উৎসব-অনুষ্ঠান অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডল, চৌবেরিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা : গত ২৭—২৯ মে ২০২২ মনঃসংযোগ, চরিত্রগঠন, স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা, প্রদর্শনী, শোভাযাত্রা, স্মরণিকা প্রকাশ, বাঁশিতে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন প্রভৃতির মাধ্যমে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ আঞ্চলিক যুব-শিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ, স্বামী কমলস্থানন্দ, ডঃ তুহিন চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, অমিতকুমার দত্ত প্রমুখ। শিবিরে ৩১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সেবাব্রত পানিত্রাস বিবেকানন্দ সেবা সংঘ, হাওড়া : গত ১৫ মে ২০২২ চৈতন্যপুরের বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নিরাময় নিকেতন-এর সহযোগিতায় একটি বিনামূল্যে চক্ষুপরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরে তিন শতাধিক রোগীর চক্ষুপরীক্ষা করা হয় এবং ৯০ জনের ছানি অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা […]
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১২ ও ২৬ অগস্ট ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজী মহারাজ
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১২ ও ২৬ অগস্ট ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজী মহারাজ
গত ১৫ অগস্ট ২০২২ ও অন্যান্য দিনে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেলুড় মঠ এবং তার নিম্নলিখিত শাখাকেন্দ্রগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করেছে :
গত ১৫ অগস্ট ২০২২ ও অন্যান্য দিনে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেলুড় মঠ এবং তার নিম্নলিখিত শাখাকেন্দ্রগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করেছে :
স্বামী সুপর্ণানন্দের ভবের শুক্তি ভেঙে গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের ২৫টি প্রবন্ধের সান্নিধ্যে এলে অনুভব হবে—দিব্য ত্রয়ীর ভাবকে সামনে রেখে প্রতিটি প্রবন্ধই যেন জীবনকে জীবনের সাথে যুক্ত করার এক-একটি উপকরণ। পূজনীয় মহারাজ ঠাকুর-মা-স্বামীজীর আদর্শ সামনে রেখে সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাণ, শাস্ত্রাদির আলোকে নতুন নতুন ভাবনায় বিষয়গুলিকে খুবই সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপিত করেছেন। প্রতিটি প্রবন্ধের মধ্যেই বৃহৎ চিন্তার বীজ মণিমুক্তোর মতো ছড়িয়ে রয়েছে। গ্রন্থের প্রথম খণ্ডটির মতো এই দ্বিতীয় খণ্ডের প্রবন্ধগুলিও নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের অম্ল-মধুর অথচ বাস্তববাদী ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিটি প্রবন্ধই পাঠকদের জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড়াতে সাহায্য করবে। ‘শ্রীরামকৃষ্ণের ধর্ম’, ‘দৈব এবং পুরুষকার : স্বামীজী এবং শ্রীকৃষ্ণ’, ‘ভালবাসা’, ‘দুঃখ-যন্ত্রণা’, ‘পরিবারে বাবার […]
স্বামী সুপর্ণানন্দের ভবের শুক্তি ভেঙে গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের ২৫টি প্রবন্ধের সান্নিধ্যে এলে অনুভব হবে—দিব্য ত্রয়ীর ভাবকে সামনে রেখে প্রতিটি প্রবন্ধই যেন জীবনকে জীবনের সাথে যুক্ত করার এক-একটি উপকরণ। পূজনীয় মহারাজ ঠাকুর-মা-স্বামীজীর আদর্শ সামনে রেখে সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাণ, শাস্ত্রাদির আলোকে নতুন নতুন ভাবনায় বিষয়গুলিকে খুবই সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপিত করেছেন। প্রতিটি প্রবন্ধের মধ্যেই বৃহৎ চিন্তার বীজ মণিমুক্তোর মতো ছড়িয়ে রয়েছে। গ্রন্থের প্রথম খণ্ডটির মতো এই দ্বিতীয় খণ্ডের প্রবন্ধগুলিও নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের অম্ল-মধুর অথচ বাস্তববাদী ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিটি প্রবন্ধই পাঠকদের জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড়াতে সাহায্য করবে। ‘শ্রীরামকৃষ্ণের ধর্ম’, ‘দৈব এবং পুরুষকার : স্বামীজী এবং শ্রীকৃষ্ণ’, ‘ভালবাসা’, ‘দুঃখ-যন্ত্রণা’, ‘পরিবারে বাবার […]
মেঘ জমিয়াছে ঈশান কোণে। চতুর্দিকে নামিয়া আসিল অন্ধকার। কী এক আসন্ন তাণ্ডবের অপেক্ষায় প্রকৃতি আজ নিথর! আচম্বিতে তুমুল ঝঞ্ঝাবাত-সহ ভারি বর্ষণ শুরু হইল।
ধর্ম-সংস্কৃতি ও অর্থনীতির যুগলবন্দি বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। আরো সুস্পষ্টভাবে বললে বলা যেতে পারে যে, ধর্ম-সংস্কৃতি নানাভাবে অর্থনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করে।
ধর্ম-সংস্কৃতি ও অর্থনীতির যুগলবন্দি বহুকাল ধরেই বিদ্যমান। আরো সুস্পষ্টভাবে বললে বলা যেতে পারে যে, ধর্ম-সংস্কৃতি নানাভাবে অর্থনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করে।
কলেজ জীবন থেকে পেশাদার থিয়েটার দেখার প্রচুর সুযোগ হয়েছে। বারবার একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে, প্রতিটি পেশাদার মঞ্চে শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধিস্থ ছবিটির উজ্জ্বল উপস্থিতি।
কলেজ জীবন থেকে পেশাদার থিয়েটার দেখার প্রচুর সুযোগ হয়েছে। বারবার একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে, প্রতিটি পেশাদার মঞ্চে শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধিস্থ ছবিটির উজ্জ্বল উপস্থিতি।
অবিভক্ত বাংলায় ত্রিপুরা জেলার চাঁদপুর শহরের কাছে বাজাপ্তি গ্রামে জন্ম হয়েছিল এই ক্ষণজন্মা পুরুষটির। ১৮৮২ (মতান্তরে ১৮৮৪) সালে তাঁর জন্ম। গরিব ঘরে জন্ম, দারিদ্র ছিল চিরসঙ্গী, স্বাস্থ্যও ছিল খারাপ।
অবিভক্ত বাংলায় ত্রিপুরা জেলার চাঁদপুর শহরের কাছে বাজাপ্তি গ্রামে জন্ম হয়েছিল এই ক্ষণজন্মা পুরুষটির। ১৮৮২ (মতান্তরে ১৮৮৪) সালে তাঁর জন্ম। গরিব ঘরে জন্ম, দারিদ্র ছিল চিরসঙ্গী, স্বাস্থ্যও ছিল খারাপ।
চৈত্র অপরাহ্ণ এখানে ম্রিয়মাণ, দূরে তুষারাবৃত শৈলরাজি হতে বয়ে আসা শীতার্ত বাতাসে কান পাতলে শোনা যায় নিঃসঙ্গতার আখ্যান, যেন কোনো বিরহী কারোর অপেক্ষায়
চৈত্র অপরাহ্ণ এখানে ম্রিয়মাণ, দূরে তুষারাবৃত শৈলরাজি হতে বয়ে আসা শীতার্ত বাতাসে কান পাতলে শোনা যায় নিঃসঙ্গতার আখ্যান, যেন কোনো বিরহী কারোর অপেক্ষায়
শান্তিনিকেতন থেকে ২ আশ্বিন ১৩৪৪ [শনিবার 18 Sep 1937] তারিখে পত্রাকারে লিখিত বিশ্বপরিচয় গ্রন্থের ভূমিকায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন :
শান্তিনিকেতন থেকে ২ আশ্বিন ১৩৪৪ [শনিবার 18 Sep 1937] তারিখে পত্রাকারে লিখিত বিশ্বপরিচয় গ্রন্থের ভূমিকায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন :
‘তন্যতে বিস্তার্যতে জ্ঞানম্ অনেন ইতি তন্ত্রম্’ অর্থাৎ যে-শাস্ত্রের দ্বারা জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, তাকে তন্ত্র বলে। কামিকাগম তন্ত্রকে বলা হয়েছে এক শ্রেণির টেক্সট (Text), যেখানে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে—
‘তন্যতে বিস্তার্যতে জ্ঞানম্ অনেন ইতি তন্ত্রম্’ অর্থাৎ যে-শাস্ত্রের দ্বারা জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, তাকে তন্ত্র বলে। কামিকাগম তন্ত্রকে বলা হয়েছে এক শ্রেণির টেক্সট (Text), যেখানে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে—
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-এর একটি অসামান্য দৃশ্য : ১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪, ভাদ্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। আগের দিনই দেবীর পূজার প্রথম কল্পের সূচনা হয়েছে। মহালয়া এখনো পাঁচদিন বাকি।
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-এর একটি অসামান্য দৃশ্য : ১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪, ভাদ্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। আগের দিনই দেবীর পূজার প্রথম কল্পের সূচনা হয়েছে। মহালয়া এখনো পাঁচদিন বাকি।
মেঘজটাজটিলরূপ বিচিত্র কর্মাকর্ম শরীর যেন অপ্রমেয়া মহামায়ারই বিরাট রূপ। বিচিত্র লোহিত, কৃষ্ণ, শুক্লে ত্রিগুণময়ী। তিনিই ভবজল তরঙ্গভঙ্গের অবধারিত কর্ত্রী। নেপথ্যে তিনিই অব্যক্তা মহাশক্তি
মেঘজটাজটিলরূপ বিচিত্র কর্মাকর্ম শরীর যেন অপ্রমেয়া মহামায়ারই বিরাট রূপ। বিচিত্র লোহিত, কৃষ্ণ, শুক্লে ত্রিগুণময়ী। তিনিই ভবজল তরঙ্গভঙ্গের অবধারিত কর্ত্রী। নেপথ্যে তিনিই অব্যক্তা মহাশক্তি
১৯৮০ সালে কয়েকজন ভক্ত অবগত হন যে, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দ্বাদশ অধ্যক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী
১৯৮০ সালে কয়েকজন ভক্ত অবগত হন যে, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দ্বাদশ অধ্যক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী
স্বাধীনতা বলতে সেই স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত স্থিতিকে বোঝায়, যেখানে উন্নীত হলে ব্যক্তি ও জাতি স্বকীয় ভাবালোকে নিজে বলিষ্ঠ ও তৃপ্ত হয় এবং অপরের সামনে আদর্শের আলোকমালা জ্বেলে দিয়ে যায়। স্বাধীনতার মূল ভিত্তি স্বার্থশূন্যতা।
স্বাধীনতা বলতে সেই স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত স্থিতিকে বোঝায়, যেখানে উন্নীত হলে ব্যক্তি ও জাতি স্বকীয় ভাবালোকে নিজে বলিষ্ঠ ও তৃপ্ত হয় এবং অপরের সামনে আদর্শের আলোকমালা জ্বেলে দিয়ে যায়। স্বাধীনতার মূল ভিত্তি স্বার্থশূন্যতা।
বাংলার নারীজাগরণের পশ্চাতে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য—
বাংলার নারীজাগরণের পশ্চাতে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য—
স্বামী বিবেকানন্দের ‘পত্রাবলী’ আজও তাঁর রচনা-সংকলনের মধ্যে এক অনবদ্য অনুপম সৃষ্টি।
স্বামী বিবেকানন্দের ‘পত্রাবলী’ আজও তাঁর রচনা-সংকলনের মধ্যে এক অনবদ্য অনুপম সৃষ্টি।
প্রথম কথা হচ্ছে, আধ্যাত্মিকতা আমাদের মূল সুর কি না এই নিয়েই লোকের মনে এখনো সন্দেহ আছে।
প্রথম কথা হচ্ছে, আধ্যাত্মিকতা আমাদের মূল সুর কি না এই নিয়েই লোকের মনে এখনো সন্দেহ আছে।
আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে দাঁড়িয়ে স্মরণ করব স্বাধীনতার এক অর্থে রূপকার স্বামী বিবেকানন্দকে—যিনি
আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে দাঁড়িয়ে স্মরণ করব স্বাধীনতার এক অর্থে রূপকার স্বামী বিবেকানন্দকে—যিনি
আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে দাঁড়িয়ে স্মরণ করব স্বাধীনতার এক অর্থে রূপকার স্বামী বিবেকানন্দকে—
আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে দাঁড়িয়ে স্মরণ করব স্বাধীনতার এক অর্থে রূপকার স্বামী বিবেকানন্দকে—