লোকনাট্যের ধারায় খনপালা বা খনগান একটি ঐতিহ্যলালিত পালাগান, যা মূলত অবিভক্ত বাংলার বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে অধিক প্রচলিত ছিল।
দুই প্ল্যাটফর্মের ছোট্ট একটা স্টেশন, নাম বরাভূম। ট্রেন থেকে নেমে উলটোদিকে গিয়ে দাঁড়ালেই রাঙাডি গ্রাম। যারা ‘মুখোশ গ্রাম’ দেখার জন্য আসে, তাদের বেশির ভাগই নামে এই স্টেশনে। তারপর ছোটবড় হরেক রকমের গাড়ি চড়ে সরাসরি আসা যায় মুখোশ গ্রাম চড়িদাতে।
অবশেষে দিন ফুরিয়ে কালীপুজোর সন্ধে নামত এড়োয়ালীর বুকে। মেলার দোকানগুলোয় জ্বলে উঠত কার্বাইডের গ্যাসের আলো। এড়োলের লোকজন ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভিড়ে পথ চলা দায়। কোথাও ‘জয় বাবা ধর্মমাল’-এর নামে চাকা ঘোরানো লটারিতে বিস্কুট কিংবা আস্ত নারকেল পাওয়ার ভিড়,
জপাট গিয়ে এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা আজ নিতান্তই সাধারণ মানুষের স্তরে নেমে এসেছেন,
গোরু মাত্রই ভগবতী। ভগবতী অর্চনার প্রধান তিথি হচ্ছে কার্তিক অমাবস্যায় দীপালি উৎসবের তিথি। ভারতবর্ষে গো-বন্দনার রেওয়াজ অত্যন্ত প্রাচীন।
গোরু মাত্রই ভগবতী। ভগবতী অর্চনার প্রধান তিথি হচ্ছে কার্তিক অমাবস্যায় দীপালি উৎসবের তিথি। ভারতবর্ষে গো-বন্দনার রেওয়াজ অত্যন্ত প্রাচীন। সমগ্র পূর্বভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের বিভিন্ন সময় গো-দেবতাকে কেন্দ্র করে নানা উৎসব পালিত হয়।
এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা বীরভূম জেলার ঢেকার রাজা রামজীবন রায়ের বংশধর। সম্রাট শাহজাহান তাঁকে শায়েস্তা খাঁর অধীনে ‘রাজা’ খেতাব দিয়েছিলেন এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও তাঁর যথেষ্টই প্রতাপ ছিল। শোনা যায়, কলেশনাথের মন্দিরনির্মাণের কারণে কর দিতে না পারায় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আক্রমণে ঢেকা ধ্বংস হয়।
এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা বীরভূম জেলার ঢেকার রাজা রামজীবন রায়ের বংশধর। সম্রাট শাহজাহান তাঁকে শায়েস্তা খাঁর অধীনে ‘রাজা’ খেতাব দিয়েছিলেন এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও তাঁর যথেষ্টই প্রতাপ ছিল। শোনা যায়, কলেশনাথের মন্দিরনির্মাণের কারণে কর দিতে না পারায় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আক্রমণে ঢেকা ধ্বংস হয়।
হরি আর ভরতের দেহের হিজলে জোয়ানের রক্ত আসন্ন বিপদের মুখে বহুদিন পরে আজ আবার তাদের লড়াইয়ের ডাক পাঠিয়েছে। দু-কান ভরে আজ বুঝি তারা আবার সেই ডাকাতে হাঁকাড় শুনছে—‘আ…ব্বা…বা…বা…বা…।’
হরি আর ভরতের দেহের হিজলে জোয়ানের রক্ত আসন্ন বিপদের মুখে বহুদিন পরে আজ আবার তাদের লড়াইয়ের ডাক পাঠিয়েছে। দু-কান ভরে আজ বুঝি তারা আবার সেই ডাকাতে হাঁকাড় শুনছে—‘আ…ব্বা…বা…বা…বা…।’
গাঁয়ের নাম ‘লক্ষ্মীপুর’। সুফসলি ধানি মাঠের নাম ‘লক্ষ্মীজোল’। ধানের অপর নাম ‘লক্ষ্মী’। কথায় আছে—‘হাতের লক্ষ্মী পেয়ে ঠেলো না’। ছেলে কিংবা মেয়ে—অনেকের নাম লক্ষ্মী। আদর করে মা সন্তানকে ডাকেন—‘লক্ষ্মীসোনা আমার’। পৌষ মাস লক্ষ্মীমাস, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবার। আবার ভর্ৎসনাবাক্যেও লক্ষ্মীর বিপরীতে ‘অলক্ষ্মী’ বা ‘লক্ষ্মীছাড়া’। বাংলার লোকজীবনের বারোমাস্যায়, লোকসংস্কৃতিতে দেবী লক্ষ্মী একটা বিরাট স্থান জুড়ে রয়েছেন।
গাঁয়ের নাম ‘লক্ষ্মীপুর’। সুফসলি ধানি মাঠের নাম ‘লক্ষ্মীজোল’। ধানের অপর নাম ‘লক্ষ্মী’। কথায় আছে—‘হাতের লক্ষ্মী পেয়ে ঠেলো না’। ছেলে কিংবা মেয়ে—অনেকের নাম লক্ষ্মী। আদর করে মা সন্তানকে ডাকেন—‘লক্ষ্মীসোনা আমার’। পৌষ মাস লক্ষ্মীমাস, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবার। আবার ভর্ৎসনাবাক্যেও লক্ষ্মীর বিপরীতে ‘অলক্ষ্মী’ বা ‘লক্ষ্মীছাড়া’। বাংলার লোকজীবনের বারোমাস্যায়, লোকসংস্কৃতিতে দেবী লক্ষ্মী একটা বিরাট স্থান জুড়ে রয়েছেন।
গ্রামের নাম ‘এড়োয়ালী’। আশপাশের দশ-বিশটা গাঁ-গেরামের লোকে বলে ‘এড়োল’, আবার কেউ কেউ ‘এড়ুল’ও বলে থাকে। থানা ও ব্লক খড়গ্রাম বা ‘খড়গাঁ’, আর সাব-ডিভিশন কান্দি, জেলা মুর্শিদাবাদ।
গ্রামের নাম ‘এড়োয়ালী’। আশপাশের দশ-বিশটা গাঁ-গেরামের লোকে বলে ‘এড়োল’, আবার কেউ কেউ ‘এড়ুল’ও বলে থাকে। থানা ও ব্লক খড়গ্রাম বা ‘খড়গাঁ’, আর সাব-ডিভিশন কান্দি, জেলা মুর্শিদাবাদ।
ছোটবেলায় খুব হিংসে হতো—আমার মনের কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে ফেলেছেন বলে। যদিও খেয়াঘাটের মাঝি হওয়ার স্বপ্ন আমার এখনো ভেঙে খানখান হয়ে যায়নি।
ছোটবেলায় খুব হিংসে হতো—আমার মনের কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে ফেলেছেন বলে। যদিও খেয়াঘাটের মাঝি হওয়ার স্বপ্ন আমার এখনো ভেঙে খানখান হয়ে যায়নি।
সাধারণত সরার ওপর অঙ্কিত চিত্রকেই ‘সরাচিত্র’ বলা হয়। কোথাও কোথাও ‘সরাপট’ও বলে। সরার ওপর যে চিত্রাঙ্কন করা হয়, পটের অঙ্কনের সঙ্গে তার সাদৃশ্য থাকায় তাকে ‘সরাপট’ বলা হয়।
সাধারণত সরার ওপর অঙ্কিত চিত্রকেই ‘সরাচিত্র’ বলা হয়। কোথাও কোথাও ‘সরাপট’ও বলে। সরার ওপর যে চিত্রাঙ্কন করা হয়, পটের অঙ্কনের সঙ্গে তার সাদৃশ্য থাকায় তাকে ‘সরাপট’ বলা হয়।
এতৎ অঞ্চলের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় মহিদাস মহামুনি বিরচিত ‘ঐতরেয় আরণ্যক’-এ—
এতৎ অঞ্চলের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় মহিদাস মহামুনি বিরচিত ‘ঐতরেয় আরণ্যক’-এ—
শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পূজার কয়েকদিন আমরা নতুন করে সেজে উঠি। আত্মীয়স্বজন যিনি যেখানেই থাকুন না কেন, এই পূজার সময় মিলিত হন একসাথে। তাই দুর্গোৎসব মিলনোৎসবও বটে
শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পূজার কয়েকদিন আমরা নতুন করে সেজে উঠি। আত্মীয়স্বজন যিনি যেখানেই থাকুন না কেন, এই পূজার সময় মিলিত হন একসাথে। তাই দুর্গোৎসব মিলনোৎসবও বটে
ভারত-অন্তপ্রাণ ডঃ আনন্দ কেন্টিশ কুমারস্বামী (১৮৭৭—১৯৪৭) তাঁর সম্পূর্ণ জীবনকালে জারিত হয়েছিলেন
ভারত-অন্তপ্রাণ ডঃ আনন্দ কেন্টিশ কুমারস্বামী (১৮৭৭—১৯৪৭) তাঁর সম্পূর্ণ জীবনকালে জারিত হয়েছিলেন