সমগ্র জগতের জন্য সৎ চিন্তাধারা প্রবাহিত করবে। সকলকার মঙ্গল হোক, এটি রোজ প্রার্থনা করা উচিত। সকলের মঙ্গল হোক, জগতের মঙ্গল হোক, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মঙ্গল হোক—এ শুভেচ্ছা সদাসর্বদা রেখো।
তাঁর নাম কর, তাতেই আত্মার শান্তি।
জপ করা মানে তাঁর নাম উচ্চারণ করা। তা মনের অবস্থা যেমনই থাকুক না কেন, তুমি নিয়মিত জপ করে যাবে। মনে করে নিও তুমি মন থেকে আলাদা। মনে আনন্দ বা দুঃখ যে ভাবই আসুক না, তুমি সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করবে না। নিজের কাজ ঠিক করে যাবে।
যখন খুশি জপ করতে পার। সর্বাবস্থায়ই জপ করা চলে।… তবে রাত্রে একলা ঘরে নিশ্চিন্ত মনে জপ করলে খুব শীঘ্র আনন্দ পাবে। সময়ের জন্য ভাবনা কি? রাস্তায় চলতে চলতেও জপ-ধ্যান করা যেতে পারে। তাঁর স্মরণ-মনন নিয়ে কথা। সর্বদা তাঁর দিকে যাতে মনটি পড়ে থাকে তার জন্যৗ চেষ্টা করা উচিত।
প্রত্যহ নিয়মিতভাবে জপ-ধ্যান করার অভ্যাস বিশেষ দরকার। তাহলে ক্রমে মন স্থির হয়ে আসে। মন নিবিষ্ট না হলেও নিয়মিতভাবে সকাল-সন্ধ্যা জপ করে যাবে। ধ্যান ঠিক ঠিক না হলেও জপ-ধ্যান কখনো ছাড়তে নেই। নিরাশ হবারও কোন কারণ নেই, ক্রমে সব হবে। মন সব সময় স্থির হয় না সত্য, কিন্তু কখনো কখনো স্থির হয়ও তো? পনেরো মিনিটের মধ্যে এক মিনিটও তো মন স্থির হয়? তাতেই হবে। ধ্যান হোক আর নাই হোক, ধ্যানের চেষ্টা ছেড়ো না। জপ ধ্যানে পরিণত হয়, ধ্যান সমাধিতে। গভীর ধ্যানেই দিব্য দর্শনাদি হয়। বেলুড় মঠে তিনচার দিন নিরিবিলিতে এবং একান্তে বসে জপ করলে অলৌকিক অনুভূতি হয়।
ত্রিসন্ধ্যা মাকে ডাকবে—মা বুদ্ধি দাও, যে-বুদ্ধি দ্বারা ভগবানকে পাওয়া যায় তাই আমাদের দাও। গায়ত্রী-ধ্যানে যেমনটি আছে, তেমনিভাবে প্রার্থনা করবে।
—স্বামী বিজ্ঞানানন্দ